Sunday, September 30, 2018

,

স্বাস্থ্যই সম্পদ 

লিপিকা দত্ত (বর্মা)



'স্বাস্থ‍্যই সম্পদ' - এই প্রবাদ বাক‍্যটি আমরা সবাই শুনেছি। কিন্তু এই সম্পদ রক্ষার্থে আমরা ততটা আগ্রহী নই। প্রাত‍্যহিক যৌগিক ক্রিয়াদির মাধ্যমে আমরা সহজেই এই সম্পদ রক্ষা করতে পারি। সাতটি প্রাণায়াম, সাতটি সুখায়াম এবং সাতটি আসনের মাধ্যমে আমরা সুস্থ নীরোগ দীর্ঘ জীবন লাভ করতে পারি।

Health Tips



প্রতিদিন ভোরে উঠে মুখভর্তি জল নিয়ে চোখে ১৫-২০ বার পরিস্কার ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিতে হবে। তারপর খালিপেটে লবন-লেবু দিয়ে কয়েক গ্লাস হালকা গরম জল খেতে হবে। এরপর প্রাতঃকৃত‍্যাদি শেষ করে কোনূ খোলা জায়গায় চাদর বিছিয়ে নিম্নলিখিত প্রাণায়াম, সুখায়ম এবং আসন একাদিক্রমে সম্পন্ন করতে হবে।
প্রথমে পদ্মাসনে বা যেভাবে পা ভাঁজ করে স্বাভাবিকভাবে বসি (বাবু হয়ে বসা ) সেভাবে বসে হাত দুটো দুই হাঁটুর উপর রেখে (তালুর উল্টো দিকটা হাঁটুতে ঠেকবে) বুড়ো আঙুল দিয়ে তর্জনী ধরে বাকি আঙুলগুলো সোজা রেখে প্রাণায়াম শুরু করতে হবে।

প্রথম- ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম : উপরোক্ত আসনে বসে শিরদাঁড়া সোজা রেখে, চোখ বন্ধ করে, মুখ বন্ধ করে, শুধু নাক দিয়ে ধীরে ধীরে জোরে শ্বাস নিতে হবে আবার নাক দিয়েই ছাড়তে হবে। যতটা সময় ধরে শ্বাস গ্রহণ করা হবে তত সময় ধরেই শ্বাস ছাড়তে হবে। যত দীর্ঘ শ্বাস গ্রহণ করা হবে ততই ভালো হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে শ্বাস নেওয়ার সময় যেন ছাতি কিছুটা স্ফীত হয়। এটা ১০মিঃ করতে হবে।

দ্বিতীয়- কপালভাতি প্রাণায়াম : একইভাবে বসে প্রথমে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে, নাক দিয়ে, নাক দিয়েই অনবরত ফোঁ, ফোঁ করে শ্বাস ছাড়তে হবে। মুখ বন্ধ থাকবে। শ্বাস নিতে হবে না। কেবলমাত্র শ্বাস ছাড়ার দিকেই নজর রাখতে হবে। শ্বাস এমনিই নেওয়া হয়ে যাবে। এটা করতে করতে হবে সেকেন্ডে একবার করে অন্ততঃ ১০মিনিট। হার্টের রুগীরা মিনিটে চল্লিশবার। প্রথম প্রথম একটানা করা যাবে না। অল্প সময় ধরে করতে হবে। আর মাঝে কয়েক সেকেন্ড করে স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হবে। তারপর আবার কপালভাতি করে যেতে হবে। এই প্রাণায়াম করার সময় কাঁধ ঝাঁকানো চলবে না, ঘাঢ় সোজা থাকবে। কাঁধে, হাতে কোনো চাপ না পড়ে। স্বাভাবিকভাবে করতে হবে। শারীরিক অসুবিধের সময় এই প্রাণায়াম করা যাবে না।

তৃতীয়- বাহ‍্য-প্রাণায়ম :  উপরোক্ত আসনে বসে নাক দিয়ে পূর্ণ শ্বাস নিয়ে তারপর সম্পূর্ণ শ্বাস দেহের বাইরে ছেড়ে 'ত্রিবন্ধ' করতে হবে। অর্থাৎ শ্বাস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মলদ্বার উপরের দিকে খিঁচতে হবে,  পেট ভিতরে টানতে হবে, থুতনি বুকে ঠেকাতে হবে। এই তিনটি কাজ একসঙ্গে করে দমবন্ধ অবস্থায় যতক্ষণ সম্ভব থাকতে হবে। শ্বাস নিতে নিতে আগের অবস্থায় আসতে হবে। এটা অন্ততঃ পাঁচবার করতে হবে।
এই প্রাণায়াম চৌদ্দ বছরের কম বয়সীরা করবে না। আর শরীর অসুস্থ থাকলেও করা যাবে না।

চতুর্থ - অনুলোম বিলোম :  আগের মতো আসনে বসে বাঁ হাতে হাঁটুর উপর রেখে ডান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে ডান নাক চেপে বাঁ নাক দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। তারপর ডান হাতের মধ্যমা- অনামিকা দিয়ে বাঁ নাক চেপে ডান নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে। শ্বাস নেওয়া হলে ডান নাক চেপে বাঁ নাক দিয়ে ছাড়তে হবে। সঙ্গে সঙ্গে বাঁ নাক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করতে হবে। ডান হাতের কনুই কাঁধ বরাবর থাকবে। নাকের কাছে হাতের তালু যেন আড়াল না করে। এভাবে শ্বাস নেওয়া- ছাড়া দীর্ঘায়িত করে একটানা ১০ মিনিট করতে হবে। শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সময় কোনো শক্তি প্রয়োগ চলবে না। স্বাভাবিকভাবে করতে হবে।

পঞ্চম- ভ্রামরি প্রাণায়াম : পূর্বের মতো আসনে বসে, চোখ বন্ধ করে, শিরদাঁড়া সোজা রেখে দুই হাতের বুড়ো আঙুল দুই কানের ভিতর চেপে রাখতে হবে। দুই হাতের তর্জনী কপাল স্পর্শ করবে আর বাকি তিনটে আঙ্গুল চোখের উপর আলতো করে স্পর্শ করে থাকবে। এই অবস্থায় মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেই 'ওঁ' উচ্চারণ করতে হবে। যতটা সম্ভব দীর্ঘায়িত শ্বাস নিতে হবে। দাঁতের পাটি পরস্পর চেপে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অন্ততঃ পাঁচবার এই প্রক্রিয়া করতে হবে।

ষষ্ঠ- উদগীথ প্রাণায়াম : একইভাবে সোজা হয়ে বসে হাঁটুর উপর দুই হাত রেখে চোখ ও মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে 'ওঁম' উচ্চারণ করতে করতে শ্বাস ছাড়তে হবে। ধীরগতিতে শ্বাস গ্রহণ ও শ্বাস ত্যাগ করতে হবে। কমপক্ষে পাঁচবার করতে হবে।

সপ্তম - উজ্জয়ী : একই আসনে বসে , মুখ বন্ধ রেখে, গলাটা ভেতরে চেপে ( অর্থাৎ শ্বাসটা গলার মধ‍্য দিয়ে যাবে না) শুধু নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে ভেতরে খানিকক্ষণ রেখে ডান নাক চেপে বাঁ নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে ধীরে ধীরে। কমপক্ষে পাঁচবার করতে হবে।
এই প্রাণায়াম না করতে পারলে ' সিংহাসন ' করা যাবে, যার উপকারিতা একই।

সিংহাসন : বজ্রাসনে বসে হাঁটু দুটো এক ফুট - এর মতো ফাঁকা করতে হবে। পিছনে পা দুটো এমনভাবে রাখতে হবে যাতে গোড়ালীতে চাপ না পড়ে আর পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দুটো পরস্পর স্পর্শ করে থাকে। এরপর দুটো হাত হাঁটু দুটোর ফাঁকে একটু ভেতরে দিকে মাটিতে রাখতে হবে। তালু মাটিতে থাকবে, আঙুলগুলো ভিতরের দিকে থাকবে। এই অবস্থায় নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে ঘাঢ় পিছনে দিকে হেলিয়ে মুখ হাঁ করে, জিভ বের করে 'অ‍্যা' 'অ‍্যা' করে শ্বাস ছাড়তে হবে। পাঁচ-সাত বার করতে হবে। 

Handstand


এই সাতটি প্রাণায়াম করার পর সাতটি সুখায়াম করতে হবে।

১ম সুখায়াম : সোজা হয়ে বসে পা দুটো সামনে সোজা করে ছড়িয়ে পায়ের আঙুলগুলো নাড়াতে হবে কিছুক্ষণ। হাতদুটো শরীরের দুইপাশ দিয়ে মাটিতে লাগানো থাকবে।

২য় সুখায়াম : উপরোক্তভাবে বসে পায়ের পাতা ঘোরানো। ডানদিক থেকে বাঁ দিক, বাঁ দিক থেকে ডান দিকে। অন্ততঃ পাঁচবার।

৩য় সুখায়াম : একইভাবে বসে দুই পা এমনভাবে ভাঁজ করতে হবে যাতে দুই পায়ের পাতা পরস্পর স্পর্শ করে। দুই হাত দিয়ে পায়ের পাতাজোড়া ধরে রাখতে হবে। এবার হাঁটু জোড়া প্রথমে ধীরে ধীরে তারপর দ্রুত আবার ধীরে ধীরে নাচতে হবে।

৪র্থ সুখায়াম : সোজা হয়ে বসে কাঁধ বরাবর সামনের দিকে হাত দুটো সোজা করে রাখতে হবে। তারপর হাতের তালু নিচের দিকে করে হাত মুঠো করা এবং খোলা। আঙুলগুলোতে একটু জোর প্রয়োগ করতে হবে।

৫ম সুখায়াম : বাবু হয়ে বসে হাত দুটো ভাঁজ করে দুই কাঁধের উপর দুই হাতের আঙুল স্পর্শ করতে হবে। এবার কনুই দুটো বুকের সামনে পরস্পর জোড়া লাগাতে হবে। এবার কনুই দুটো ঘোরাতে হবে ডান দিক থেকে বাঁ দিকে, বাঁ দিক থেকে ডান দিকে।

৬ষ্ঠ সুখায়াম : একইভাবে বসে হাত দুটো হাঁটুতে রেখে ঘাড় ঘোরাতে হবে। একবার ডান দিক থেকে বাঁ দিকে আবার বাঁ দিক থেকে ডান দিকে।

৭ম সুখায়াম : সোজা হয়ে বসে হাত দুটো মাথার উপর তুলতে হবে। তারপর হাত দুটো ভাঁজ করে মাথার পিছনে একে অন্যের কব্জি ধরবে। তারপর ধীরে ধীরে ডান হাত বাঁ হাতে আর বাঁ হাত ডান হাতে চাপ দেবে ধীরে ধীরে। শরীরের দুই পাশে টান লাগবে।
এছাড়াও অনেক আছে। তার মধ্যে চোখের জন্য একটা দিচ্ছি।

৮ম সুখায়াম : সোজা হয়ে বসে চোখের তারা একবার ডান দিক থেকে বাঁ দিকে ঘোরাতে হবে। তারপর গোল করে ঘোরাতে হবে। আর একবার উপর - নীচ তাকাতে হবে। সবগুলোই অনেকবার করতে হবে।

Handstand


এই সুখায়ামগুলোর পর সাতটা আসন করতে হবে। তবেই আমরা আকাঙিক্ষত ফল পাবো।

(১) শলভাসন, (২) ভূজঙ্গাসন, (৩)উত্থান পদাসন, (৪) সর্বঙ্গাসন, (৫) পবন মুক্তাসন, (৬) ত্রিকোণাসন এবং  (৭) উষ্ট্রাসন।
এছাড়াও করা যায় - হলাসন, গোমুখাসন, কুর্মাসন, অর্ধমৎসেন্দ্রাসন, মৎস‍্যাসন, সুপ্তবজ্রাসন, চক্রাসন, যোগমুদ্রা। 
আসনগুলো এমনভাবে করতে হবে যেন প্রথমে দাঁড়িয়ে, তারপর বসে, শেষে শুয়ে করা যায়। প্রতিটি আসান অন্ততঃ তিনবার করতে হবে। সুখায়ামগুলো ৫-৭ বার।

শারীরিক অসুবিধের সময় সবই বন্ধ রাখতে হবে।
বিঃদ্রঃ - এইসব প্রাণায়াম, আসন খালিপেটে করতে হবে। সন্ধ‍্যেবেলা করলে তার ৪-৫ ঘন্টা আগে খাওয়া শেষ করতে হবে।


- সম্পূর্ণ তথ্য নবীনমানুয়া ঈশ্বরচন্দ্র হাই স্কুলের ২০০৬ সালে প্রকাশিত দীপশিখা থেকে নাওয়া হয়েছে।

,

সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী মনসা পূজার  অনুষ্ঠান সূচী


সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী মনসা পূজা 
পরিঃ নবীন মানুয়া দক্ষিণ পাড়া মনসা পূজা কমিটি
স্থানঃ নবীনমানুয়া দক্ষিণ পাড়া ( আমদহ), পশ্চিম মেদিনীপুর।
তারিখঃ ১৭ই অক্টোবর থেকে ২০শে অক্টোবর , ২০১৮


Manasa Pujo
ছবি : মনসা পূজো - ২০১৭


 অনুষ্ঠান সূচী :


৩০শে আশ্বিন ১৪২৫ ( ইং- ১৭ই অক্টোবর ২০১৮ ) বুধবার:
রাত্রি ৮ ঘটিকায় ঢাক,বাদ্যযন্ত্র এবং আলোকসজ্জা সহকারে মায়ের মঙ্গলঘট স্থাপন ।

৩১শে আশ্বিন ১৪২৫ ( ইং- ১৮ই অক্টোবর ২০১৮ ) বৃহস্পতিবার:
সকাল ১০টা হইতে দুপুর ২টা পর্যন্ত মায়ের পূজা, মনসামঙ্গল ও প্রসাদ বিতরণ।
রাত্রি ৯ ঘটিকায় শ্রী শ্রী 'রাধা-গোবিন্দ কীর্ত্তন সম্প্রদায়'।
কীর্ত্তনীয়া- কুমারী রাখী জানা।
রায়বাঁধ * পাঁশকুড়া * পূর্ব মেদিনীপুর

১লা কার্ত্তিক ১৪২৫ ( ইং- ১৯শে অক্টোবর ২০১৮ ) শুক্রবার:
সকালে নিত্যপৃজা, বিকালে-খেলাধুলা ও সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রাত্রি ৯ঘটিকায় কোলকাতার শকুন্তলা অপেরা কর্তৃক ১৪২৫ সালের শ্রেষ্ঠ সামাজিক যাত্রাপালা।
"হে - মোর - দুর্ভাগা - দেশ"
রচনা -ডঃ তাপস কুমার, নির্দেশনা- রঞ্জন কুমার, 
শ্রেষ্ঠাংশে - গায়ক/নায়ক - কুমার সংগ্রাম
গায়িকা/ নায়িকা - মিস তনুশ্রী
ভয়ঙ্কর খলনায়ক - খান ভাই

২রা কার্ত্তিক ১৪২৫ (ইং- ২০শে অক্টোবর ২০১৮ ) শনিবার :
সকালে নিত্যপৃজা, বিকালে-খেলাধুলা ও সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় সন্ধ্যাকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রাত্রি ৯টায় সবার মন মাতাতে আসছে "স্বপ্না মিউজিক্যাল ড্রন্সট্রুপ" বাংলা , উরিয়া , পাঞ্জাবী, গুজরাটী ডান্স এর ঝুড়ি নিয়ে।

সবারে করি আহ্বান

Friday, September 28, 2018

,

সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী মনসা পূজার  অনুষ্ঠান সূচী


সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী মনসা পূজা - ২০১৮
পরিঃ সীতাপুর নবীনমানুয়া মিলন সংঘ ও সীতাপুর মনসা পূজা কমিটি
স্থানঃ সীতাপুর মনসাতলা, পশ্চিম মেদিনীপুর।
তারিখঃ ১৭ই অক্টোবর থেকে ২১শে অক্টোবর , ২০১৮


Sitapur Manasa Pujo 2018


 অনুষ্ঠান সূচী :

৩০শে আশ্বিন ১৪২৫ ( ইং- ১৭ই অক্টোবর ২০১৮ ) বুধবার:
রাত্রিতে বাদ্যবাজনা সহকারে মায়ের ঘটস্থাপন ও পূজারম্ভ এবং সাপের খেলা।

৩১শে আশ্বিন ১৪২৫ ( ইং- ১৮ই অক্টোবর ২০১৮ ) বৃহস্পতিবার:
মায়ের পূজা, মায়ের গান, সাপের খেলা, মধ্যাহ্নে “অন্নপ্রসাদ বিতরণ” ।
রাত্রি ১০ ঘটিকায় "যাত্রানুষ্ঠান"

১লা কার্ত্তিক ১৪২৫ ( ইং- ১৯শে অক্টোবর ২০১৮ ) শুক্রবার:
মায়ের নিত্যপূজা।
রাত্রি ১০ ঘটিকায় পার্থ প্রতিম সিঙ্গার সহ "বিরাট বিচিত্রানুষ্ঠান"।

২রা কার্ত্তিক ১৪২৫ (ইং- ২০শে অক্টোবর ২০১৮ ) শনিবার :
রাত্রি ১০ ঘটিকায় হাস্য কৌতুকের রাজা উত্তম দাস ও স্টার জলসা খোকাবাবু সিরিয়ালের দুষ্টু মিষ্টি নায়িকা " মিস তরী মুখার্জী সমন্বয়ে বিরাট বিচিত্রানুষ্ঠান"।

৩রা কার্ত্তিক ১৪২৫ (ইং- ২১শে অক্টোবর ২০১৮ ) রবিবার :
সকাল ৮টায় চৈতন্যপুর নেত্র নিরাময় নিকেতনের "চক্ষু পরীক্ষা শিবির"।

Devi Manasa Mata
ছবি : মনসা পূজো - ২০১৭


সীতাপুরের অন্যতম জনপ্রিয় পূজো  হল মনসাপূজা। মনসা পূজো মনে অঞ্জলি দেওয়া,সাপের খেলা এবং নানান অনুষ্ঠান। অনান্য বছরের মতো এই বছরেও পূজো কমিটি নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। একই সময়ে দূর্গাপূজা হলেও ভক্তদের ভিড় পূজোর সমস্ত দিনেই লক্ষ্য করা যাবে এমনটাই মনে করছেন পূজা কমিটি। পূজোর প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। সকল বন্ধুদের এই পূজোয় পূজো ও অনুষ্ঠান দেখার আমন্ত্রণ জানাই। আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক করুন।

Tuesday, September 25, 2018

,

সীতাপুর ও নবীনমানুয়া গ্রামের বিভিন্ন পূজাসমূহ 


সীতাপুর হল পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটি ছোটো গ্রাম।  সীতাপুরের পাশের গ্রাম হল নবীনমানুয়া। এখানকার মানুষেরা খুব উৎসব প্রিয় তাই বারো মাসে তেরো পার্বন হয়ে থাকে। আর এই উৎসব গুলোতে নানান ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ছোটো বড়ো এই পূজো গুলোকে গ্রামের মানুষ  আনন্দের সঙ্গে পালিত করে। 


All Pujo



 সীতাপুর  নবীনমানুয়া এই দুই গ্রামে যেই পূজোগুলো হয়ে থাকে-

১।  সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গোৎসব :

সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গোৎসব।
পরিচালনায়ঃ সীতাপুর নবীনমানুয়া সার্ব্বোজনীন দূর্গাপূজা কমিটি।
স্থানঃ সীতাপুর ,দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর।


২।  শ্রী শ্রী সার্ব্বজনীন মনসামাতার পূজো :

 ক)  সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী মনসা পূজো।
      পরিঃ সীতাপুর নবীন মানুয়া মিলন সংঘ ও সীতাপুর মনসা পূজা কমিটি।         
      স্থানঃ সীতাপুর মনসাতলা, পশ্চিম মেদিনীপুর।

খ)  সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী মনসা পূজো।
      পরিঃ নবীন মানুয়া দক্ষিণ পাড়া মনসা পূজা কমিটি।      
      স্থানঃ নবীনমানুয়া দক্ষিণ পাড়া ( আমদহ), পশ্চিম মেদিনীপুর।


৩।  সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজো :

ক)  সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো।
      পরিঃ Brothers Association ।        
      স্থানঃ সীতাপুর মাজী পাড়া ।

খ)   সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজো।
       পরিঃ বিবেকানন্দ স্পোটিং ইউনিয়ন। 
       স্থানঃ সীতাপুর লক্ষ্মীতলা, পশ্চিম মেদিনীপুর।

গ)  সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পুজো।
      পরিঃ নবীনমানুয়া উত্তরপাড়া ।
       স্থানঃ নবীনমানুয়া হাট।


৪। সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী  শ্যামা পূজো :
  
ক) সীতাপুর-নবীনমানুয়া সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী শ্যামা পূজো।
     পরিচালনায় - মাতৃ সংঘ।
      স্থানঃ সীতাপুর কালীতলা,পশ্চিম মেদিনীপুর।

খ)  সীতাপুর-নবীনমানুয়া সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী শ্যামা পূজো।
      পরিচালনায় - মিতালী সংঘ।
       স্থানঃ সীতাপুর রাখাল মাড়োতলা।

গ)  শ্রী শ্রী সার্ব্বোজনীন শ্যামা পূজো।
      পরিচালনায়ঃ- শিবশক্তি সংঘ ।              
      স্থানঃ সীতাপুর রামকৃষ্ণ স্পোটিং এন্ড কালচ্যারাল ক্লাব ময়দান, সীতাপুর , পশ্চিম মেদিনীপুর।

ঘ)  শ্রী শ্রী কালীমাতার পুজো
     পরিঃ নবীনমানুয়া তরুণ সংঘ।
      স্থানঃ নবীনমানুয়া প্যোড়া পাড়া।


৫। সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী শিবদূর্গা পূজো :

     সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী শিবদূর্গা পূজো।
     পরিঃ মহাপ্রভু মিলন সংঘ।
     স্থানঃ সীতাপুর(পূর্ব পাড়া), পশ্চিম মেদিনীপুর।


৬।  শ্রী শ্রী সার্ব্বজনীন লক্ষী নারায়ণ পূজো :
       
ক)  শ্রী শ্রী সার্ব্বজনীন লক্ষী নারায়ণ পূজো ও দোল উৎসব।
      পরিঃ ইয়ং স্টার ক্লাব।
      স্থানঃ সীতাপুর ( দক্ষিন পাড়া), পশ্চিম মেদিনীপুর।

খ)  শ্রী শ্রী সার্ব্বজনীন লক্ষীনারয়ণ পূজো।
      পরিচালনায়ঃ সীতাপুর নবীনমানুয়া নেতাজী তরুণ সংঘ।
      স্থানঃ সীতাপুর হরিতলা, সীতাপুর , পশ্চিম মেদিনীপুর। 
  

৭।  শ্রী শ্রী সার্ব্বজনীন অন্নপূর্ণা পূজো :

      শ্রী শ্রী সার্ব্বজনীন অন্নপূর্ণা পূজো।
      পরিচালনায়ঃ নবজাগরণ ক্লাব।
      স্থানঃ সীতাপুর (শিবতলা),পশ্চিম মেদিনীপুর।


৮।  শ্রী শ্রী সার্ব্বজনীন সরস্বতী পূজো :
         
       গ্রামের বিভিন্ন ক্লাবে ও প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় হয়ে থাকে এই পূজো।


৯।  সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী সন্তোষী পূজো :

     সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী সন্তোষী পূজো।
     পরিচালনায়ঃ সীতাপুর সবুজ সংঘ(আমদহ)।
     স্থানঃ সীতাপুর,দাসপুর,পশ্চিম মেদিনীপুর।


১০।   সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী শ্মশানকালী পূজো :

ক)  শ্রী শ্রী শ্মশানকালী পূজা ও বার্ষিক অনুষ্ঠান।
      পরিচালনায়ঃ নবীমমানুয়া ফাইভ স্টার ক্লাব।
      স্থানঃ নবীনমানুয়া( জোড়া সাঁকো ), সীতাপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর।

খ)  শ্রী শ্রী শশ্মান কালীমাতার পূজো।
      পরিঃ রবীন্দ্রনাথ স্পোটিং ক্লাব।
      স্থানঃ নবীনমানুয়া, সীতাপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর।

১১।   সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী গণেশ পূজো :

         সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী গণেশ পূজো।
         পরিচালনায়ঃ আমার কজন।
         স্থানঃ সীতাপুর ( বুড়াই পাড়া ), পশ্চিম মেদিনীপুর।


১২।  সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী ভীম পূজো :

         সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী ভীম পূজো।
         পরিচালনায়ঃ নবীনমানুয়া ভীমতলা বাজার কমিটি।
         স্থানঃ নবীনমানুয়া ভীমতলা(নবীনমানুয়া ঈশ্বর চন্দ্র হাই স্কুলের নিকট)।

এছাড়াও সমস্ত শীতলামাতার মন্দিরে পূজো, শিবের মাথাই জল ঢালা, বিশ্বকর্মা পূজো ও মেলা ইত্যাদি অনেক পূজো হয়ে থাকে। প্রায় সমস্ত ধরনের পূজো সীতাপুর ও নবীনমানুয়াতে হয়ে থাকে।

Saturday, September 22, 2018

,

নবীনমানুয়া ঈশ্বর চন্দ্র হাই স্কুল এবং প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় ঈশ্বর চন্দ্র জানা মহাশয়ের সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য


High School


বিদ্যালয়ের সম্পর্কে অজানা তথ্য :

শহরের কোলাহল থেকে বহু দূরে এক সুন্দর মনোরম গ্রাম‍্য প্রাকৃতিক পরিবেশে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পলাশপাই খালের তীরে নবীন মানুয়া গ্রামে ১৯৪৯ সালে স্থাপিত হয়েছিল অতি ক্ষুদ্র চার শ্রেণী বিশিষ্ট জুনিয়ার হাইস্কুল। জন্মলগ্নে এর কলেবর ছিল অতি ক্ষুদ্র। কিন্তু উদ‍্যম ও প্রাণ প্রাচুর্যে ছিল ভরপুর। ১৯৫৪ সালে দুই শ্রেণী (পঞ্চম ও ষষ্ঠ) বিশিষ্ট জুনিয়ার হাইস্কুল এবং ১৯৬৫ সালে চার শ্রেণী (পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম) বিশিষ্ট জুনিয়ার হাইস্কুলে অনুমোদিত হয়। দীর্ঘ ৩৫ বৎসর পর মাননীয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় ২০০০ সালের ১লা মে থেকে উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে অনুমোদন পেয়েছে। এরপর নাম বদলে হয় নবীন মানুয়া ঈশ্বরচন্দ্র হাই স্কুল। এই বিদ্যালয় থেকে বহুকৃতী ছাত্র-ছাত্রী নিজেদের জীবন গড়ার পালা শুরু করে পৌঁছে গিয়েছে নিজেদের লক্ষে।


High School


বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় ঈশ্বরচন্দ্র জানা মহাশয়ের সম্পর্কে অজানা তথ্য :

নবীন মানুয়া ঈশ্বরচন্দ্র হাই স্কুল প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠার পেছনে যাঁর দান অনস্বীকার্য‍্য তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা সমস্ত পাঠককে জানানোর জন‍্যই এই লেখা। আমাদেরই গ্রাম নিবাসী ছিলেন স্বর্গীয় ঈশ্বরচন্দ্র জানা মহাশয়। যাঁর জন্ম ৫ই আশ্বিন (ইং- ২২শে সেপ্টেম্বর), ১২৯৫ বঙ্গাব্দ এবং মৃত্যু ১৪ই শ্রাবণ ১৩৬৯ বঙ্গাব্দ তারিখে। তিনি এই প্রতিষ্ঠান গঠনের মূল কারিগর। তিনি তাঁর জীবনের সমস্ত সঞ্জয় দান করেন এই মহান প্রয়াস সাফল্য করার উদ্দেশ্যে। তিনি ছিলেন জীবন ধারায় আমাদেরই মত সাধারণ। তাঁর জীবনে চলার পথের সাথী যারা অর্থাৎ স্ত্রী, পুত্র এবং কন‍্যা থাকা সত্ত্বেও তিনি এই পূর্ণকর্ম করার সাহস দেখিয়ে ছিলেন। সারা জীবন কীভাবে চলবে সে চিন্তা না করে তিনি ভেবেছিলেন এই বিদ্যালয়ের কথা। যেখান থেকে শুধু নবীন মানুয়া নয় সীতাপুর এবং নদীর ওপারের পলাশপাই গ্রামেরও শত শত ছাত্র ও ছাত্রীরা পেয়েছিল প্রকৃত পাঠ। বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য তৎকালীন শিক্ষানুরাগী ব‍্যক্তিদের অনুরোধে এলাকার শিক্ষা প্রসারে তিনি গ্রামের সমূহ ভূ- সম্পত্তি এমনকি বাস্তুভিটাটিও বিদ্যালয়কে দান করে গেছেন।

Memorial



সীতাপুর আমার গ্রাম টিমের পক্ষ থেকে ওঁনার শিক্ষা প্রসারে র মানসিকতাকে আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই। ওঁনার স্মৃতির প্রতি আমারা গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। ওঁনার পরিবারবর্গের প্রতি আমারা সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

- সম্পূর্ণ তথ্য বিদ্যালয়ের  ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সালে প্রকাশিত দীপশিখা থেকে নাওয়া হয়েছে।

Friday, September 21, 2018

,

সাপকে গলায় জড়িয়ে জলে ডুবে মনসা মাতার ঘট ডুবানো হয়


পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সীতাপুর ও নবীনমানুয়া গ্রামের পূজো গুলোর  মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় পূজো হল মনসামাতার পূজো। আর এই মনসা পূজা মানেই সাপের খেলা। এই সাপের খেলা দেখার জন্য জনগণের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

মনসামাতার পূজো দুটি হয়, একটি সীতাপুর মনসাতলায় এবং অপরটি নবীনমানুয়া আমদহতে। প্রায় ১০ বছর আগে পূজোর সময় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চাল ও চাঁদা আদায় করাহত সাপের খেলা দেখিয়ে। দুই মনসাতলার কমিটিতেই সাপের খেলা হত। গ্রামের মধ্যে যেকোনো স্থানে সাপ বেড়ালে, তা ধরে সাপের বিড়িতে করে মন্দিরের মধ্যে রাখা হত। কিছু দিন অন্তর সাপের বিষ তুলে ফেলা হত। এই বিষ তুলা সাপ নিয়ে সকালে ও বিকালে সীতাপুর মানুয়া সহ পার্শ্ববর্তী স্থানে পূজোর জন্য চাঁদা তোলা হত। পূজোর সময়ও সাপের খেলা দেখানো হত।

snake


সাপের খেলা দেখানো মানে জীবন নিয়ে খেলা দেখানো। এক দিন একটি বড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এই দুর্ঘটনার পর থেকে নবীনমানুয়া মনসামাতার মন্দিরে সাপের খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সীতাপুর মনসামাতার মন্দিরেও সাপের খেলা দেখানো কমিয়ে দেওয়া হয়।



সীতাপুর মনসামাতার মন্দিরে পূজোর সময় শুধুমাত্র সাপের খেলা দেখানো হয়। এখনও এই সাপের খেলা দেখার জন্য জনগণের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
মনসামাতার ঘট ডুবানোর দিন রাত্রি ১১টায় শুরু হয় সাপের খেলা। বিভিন্ন সাপের খেলা দেখানো হয় যেগুলো পূজোর আগেই ধরে রাখা হয়। ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ধরে এই সাপের খেলা হয়। এরপর ঐ সাপ গুলোকে ধরে গলায় জড়িয়ে রাখে কমিটির সদস্য বৃন্দ। এরপর পুরোহিত মন্ত্র পড়ে ঘটকে জলে ডুবালে সকলে সাপকে গলায় জড়িয়ে জলে ডুবে। এরপর মন্দিরে সাপের বাক্সে সাপগুলোকে রেখে দেওয়া হয়। পরেরদিন সন্ধ্যায় সাপের খেলা দেখানো হয়। অনেক বছর অনান্য ব্যক্তিদের দ্বারা সাপের বিভিন্ন ভয়ঙ্কর খেলা দেখানো হয়েছে। পূজো শেষ হয়ে গেলে এই সাপগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।



বর্তমানে এই সাপের খেলা দেখানো কম করে দেওয়া হয়েছে। আগে মানুষ সাপে কামড়ালে গুনিনের কাছে যেত। কিন্তু বর্তমানে মানুষ শিক্ষিত হয়েছে তাই সাপে কামড়ালে সর্বপ্রথম হাসপাতালে চলে যায়। অনেকেই এখনো প্রথমে হাসপাতালে না গিয়ে গুনিনদের কাছে যায় এবং পরে হাসপাতালে যায়।  তবে আপনাদের সাথে এমন ঘটনা ঘটলে আগে হাসপাতালে যাবেন।

ধর্মীয় কিছু রীতিমতো এই সাপের খেলা দেখানো হয়। এই খেলা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দেখনো হয়। তাই কেউ বাড়িতে এমন কিছু করার চেষ্টা করবেন না।

Thursday, September 20, 2018

,

সীতাপুরে একই সাথে দুর্গাপূজা ও মনসাপূজা


সীতাপুরের অন্যতম জনপ্রিয় পূজো  হল দুর্গাপূজা ও মনসাপূজা। এই পূজো গুলোতে অসংখ্য মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এই বছর এই দুটি পূজো একই সঙ্গে হতে চলেছে। ২৯শে আশ্বিন ১৪২৫ মঙ্গলবার দুর্গা পূজোর সপ্তমী এবং ১লা কার্ত্তিক ১৪২৫ শুক্রবার দুর্গা পূজোর দশমী। অপরদিকে ৩০শে আশ্বিন ১৪২৫ থেকে শুরু হবে মনসা পূজা। একই সঙ্গে পূজোর জন্য চিন্তিত গ্রামবাসী। তাহলে কি এইবার পূজোর মজা দ্বিগুন না অর্ধেক হবে, এই নিয়ে চিন্তিত সীতাপুর ও নবীনমানুয়া গ্রামবাসী। একদিকে বাঙলির সেরা পূজো দুর্গাপূজো অপরদিকে সীতাপুরের সেরা পূজো মনসাপূজো।
Indian festival


সীতাপুর ও নবীনমানুয়াতে একটি দুর্গাপূজা হয় এবং দুটি মনসামাতার পূজো। সীতাপুর ও নবীনমানুয়ার পার্শ্ববর্তী লক্ষীকুন্ডু, কাশীনাথপুর, সীতারামচক ও পলাশপাই গ্রামেও দুর্গাপূজা ধুমধামে হয়ে থাকে। আবার দুর্গা পূজা মানে ঘুরতে যাওয়া, রাত্রি জেগে পূজো প‍্যান্ডেল দেখা, অষ্টমী তে অঞ্জলি দেওয়া ও দশমীতে সিঁদুর খেলা। অপরদিকে মনসা পূজো মনে অঞ্জলি দেওয়া,সাপের খেলা এবং নানান অনুষ্ঠান। এই দুই পূজো একই সঙ্গে হওয়ার জন্য সীতাপুর ও নবীন মানুয়ার মানুষ চিন্তত। পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসীদের কাছে দুর্গা পূজো প্রাধান্য পেলেও সীতাপুর ও নবীন মানুয়ার গ্রামবাসী মনসা পূজো কে বেশি প্রাধান্য দেয়। তবে দুর্গা পূজোকেও প্রাধান্য দেয়। তাই গ্রামের মনসাপূজো ও দুর্গাপূজোতে মানুষের ভিড় হবে কিনা পূজো কমিটি চিন্তিত। দুর্গাপূজোর জন্য মনসাপূজোতে অনান্য স্থান থেকে মানুষের আগমন অনেকটাই কমে যাবে। কিন্তু মনসা মায়ের অঞ্জলির দিন ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করা যেতে পারে।  সীতাপুরের দুর্গাপূজো ও মনসাপূজোতে বড়ো যে মেলা লক্ষ করা যায় তা এবছর ছোটো ভাবে লক্ষ করা যেতে পারে। চারিদিকে পূজোর কারণে মেলার দোকানদারদের মনে কেনাকাটা হবে কিনা ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এতকিছুর পর যদি বৃষ্টি হয় তাহলে পূজোতে মানুষের ভিড় অারও কমে যাবে। গত বছরে বৃষ্টির কারণে সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছিল। তাই পূজোকমিটির কাছে এবছরের পূজো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িছে। তবে  দুটি পূজো একসাথে হওয়ার জন্য বাইরে যে সমস্ত ব্যক্তি কাজ করেন, তারা পূজোতে বাড়িতে আসছেনে।

উপরের সমস্তকিছু কল্পনার উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। তাই এমন নাও হতে পারে কারণ মানুষ এখন উৎসবে আনন্দ উপভোগ করে। আসা করছি দুটি পূজো একসাথে হওয়ার জন্য আনন্দ দ্বিগুন হবে।  সীতাপুরের দুর্গাপূজা ও মনসা পূজার সমস্ত তথ্য ও অনুষ্ঠানের লাইভ- এর জন্য আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুণ, ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুণ এবং এই ওয়েবসাইটে লক্ষ রাখুন। 

Sunday, September 16, 2018

,

বিশ্বকর্ম্মা পূজোয় মেতে উঠেছে বাঙালি



বিশ্বকর্ম্মা হল দেবতাদের শিল্পী। আবার অনেকের কাছে দেবশিল্পী নামে পরিচিত।
তাঁর মাতা হলেন বৃহস্পতির ভগিনী যোগসিদ্ধা এবং তাঁর পিতা হলেন অষ্টম বসু প্রভাস।
হাতি হল বিশ্বকর্ম্মার বাহন।

Vishwakarma Thakur


ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে শিল্প মহলে বিশ্বকর্ম্মা পূজা হয়। সমস্ত শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত মানুষ এই পূজো করে। সাধারণত লোহার জিনিসপত্র যে কাজে ব্যবহৃত হয় সেখানেই এই পূজো হয়। বাঙালিদের কাছে এই পূজোর বেশি প্রচলন রয়েছে। বাঙালিরা প্রায় সকলেই বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত থাকে। বাঙালিরা  গাড়ির গ্যারেজে, দর্জি, স্বর্ণকার, কর্মকার, ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই দিনের আগে থেকেই চলে পূজোর প্রস্তুতি। সারাবছর কাজের পর নিজেদের দোকান গোছানো ও পরিস্কার করা হয় এই পূজোর জন্যই। সকল ব্যক্তিগণ শিল্পকর্মে নিজ নিজ দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্ম্মার পূজো করে থাকেন।

এর পর ঠাকুর আনা এবং নানান ভাবে সাজানো হয়। এই সাজানোর কাজ সাধারণত নিজেরাই করে থাকে। সারারাত ধরে নানান কাজের পর সকালে হয় এই পূজো। অঞ্জলী দেওয়ার পর হয় প্রসাদ বিতরণ। এই দিনে প্রায় সকল দোকানেই পূজো হয় এবং অনেক দোকানে হালখাতাও হয়ে থাকে। অনেক ক্লাবে এই পূজো ধুমধামে হয়ে থাকে। থাকে নানান অনুষ্ঠান। প্রতিটি বাড়িতে মোটরসাইকেল পরিস্কার করা হয় এবং পূজো দেওয়া হয়। ছোটো ছোটো ছাত্র ও ছাত্রী নিজেদের সাইকেল অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে পরিস্কার করে পুরোহিতের কাছে পূজো দেয়।

অনেক স্থানে এই পূজো উপলক্ষে চলে মেলা। আবার অনেকে স্থানে এই মেলা চলে ৮-৯ দিন ধরে। অনেক গ্রামে ছোটো ছোটো মেলার আয়োজন করা হয়। বিকেল মানেই গ্রামের সকলে দল বেঁধে চলে মেলায়। আর মেলা মনেই নানান কেনাকাটা, খাওয়া দাওয়া, ঘুরাঘুরি, পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে দেখা হওয়া।

রাত্রিতে অনেক দোকানে নানান ভজনের ব্যবস্থা থাকে। পরেরদিন থেকে যথারীতি ভাবে আবার কাজ শুরু হয়। অনেক দোকানে ৩-৪দিন পরেও শুরু হয়। বিশ্বকর্ম্মা পূজা বাঙালিদের কাছে পূজোর আমেজ এনে দেয়।

Vishwakarma Thakur



সীতাপুর গ্রামেও ঠিক এমনই লক্ষ করা যায়। সকল বন্ধুদের জানাই বিশ্বকর্ম্মা পূজোর আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

Tuesday, September 11, 2018

,

এটাই চোর ধরার সহজ পদ্ধতি?

কীভাবে চোর ধরা হয়: 

আপনার জিনিস চুরি হয়ে গেছে, কে চুরি করছে বুঝতে পারছেন না।  সম্পূর্ণ পড়ুন  বুঝতে পারবেন কীভাবে চোর ধরবেন। বহুকাল আগে এক পদ্ধতি অবলম্বন করে গ্রামে চোর ধরা হতো। এমনকি এখনও পর্যন্ত হয়ে থাকে। পদ্ধতি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।



 
thief


আপনার জিনিস চুরি হয়েগেছে। বুঝতে পারছেন না কে চুরি করছে। কিন্তু আপনার কয়েকজনের প্রতি সন্দেহ হচ্ছে। এবার আপনি সন্দেহ ভাজন সকলকে ডাকুন। সকলের জন্য মন্ত্রপুত আটা অথবা ময়দার গুলি নিয়ে আসুন। এই মন্ত্রপুত আটার অথবা ময়দার গুলি কোথায় পাবেন অথবা নিজে কীভাবে তৈরি করবেন,কী মন্ত্র ব্যবহার করবেন তা আমারা শেষে জানিয়ে দেবো। এবার আপনি একটি কাঁচের গ্লাসে জল নিয়ে আসুন। গ্লাসটিকে টেবিলের উপর রেখে দিন এবং মন্ত্রপুত গুলি গুলো  সন্দেহ ভাজন সকলের হাতে একটা করে দিয়ে দেন। সকলকে বলুন ঐ গুলিকে জল ভর্তি গ্লাসের মধ্যে রাখতে। আপনি লক্ষ্য রাখুন কার ঐ আটার অথবা ময়দার গুলি জলে ভেসে উঠেছে। যার গুলিটি  ভেসে উঠবে সে আপনার জিনিস চুরি করছে এবং যদি একাধিক ব্যক্তির গুলি ভেসে উঠে তাহলে একাধিক ব্যক্তি মিলে আপনার জিনিস চুরি করেছে।
আপনার কি মনে হয় এইভাবে চোর ধরা সম্ভব। যদি না বলেন তাহলে আপনার জেনে রাখা ভালো বহুকাল আগে এই পদ্ধতির সাহায্যে গ্রামে চোর ধরা হতো। এমনকি এখনও অনেক গ্রামে এমন হয়ে থাকে। কিন্তু এটা অন্ধবিশ্বাস ছাড়া আর কিছু না। এভাবে চোর ধরা কখনো সম্ভব নয়।

আপনার জেনে রাখা ভালো যে আগে গ্রামের মানুষ এতো শিক্ষিত ছিল না। চুরি হয়ে গেলে পুলিশের কাছে যেতে ভয় পেতেন। তাদের বিশ্বাস ছিল গ্রামের গুনিন, ওঝার সাহায্যে সহজেই চোর ধরা যাবে। তাই তারা মন্ত্রপুত আটার অথবা ময়দার গুলি নিয়ে আসত এবং ঐ ভাবে চোরকে ধরা হতো। যে ব্যক্তির গুলি ভেসে ওঠে তাকে গ্রামের মানুষ ডান্ডা দিয়ে মারত। ব্যক্তি চুরি না করলে বিনা দোষে মারখেতে হতো এবং জরিমানা হতো।



কীভাবে মন্ত্রপুত গুলি তৈরি করা হয় : 

সমস্ত আটার অথবা ময়দার গুলি ডুবে গেলেও এই আটার গুলি ভেসে যেত কারণ এই আটার গুলিতে সম্পূর্ণ আটা থাকে না। এই আটার গুলির মধ্যে থারমোকলের টুকরো থাকতো। আর মন্ত্র ব্যবহার করে এই গুলিকে মন্ত্রপুত গুলি করা হতো। আপনিও নিজে এইভাবে বাড়িতে বসে মন্ত্র ছাড়াই গুলি তৈরি করতে পারবেন।

* আমাদের অনুরোধ কখনো কিছু চুরি গেলে গুনিন,ওঝার কাছে না গিয়ে পুলিশের কাছে যাবেন।





সম্পূর্ণ তথ্য গুলো আমরা নবীন মানুয়া ঈশ্বরচন্দ্র হাই স্কুলের ময়দানে 'সৃষ্টি' পরিচালিত বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৭ এর "অলৌকিক নয় লৌকিক" অনুষ্ঠান থেকে নাওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের ভিডিওটি দেখুন :

Friday, September 7, 2018

,

দুর্গাপূজার WhatsApp Status ডাউনলোড করুন 


২০১৭ সালের ঘাটাল মহকুমার বিশেষ কয়েকটি আকর্ষণীয় দুর্গা পূজোর ভিডিও ডাউনলোড করে নিজের WhatsApp এর Status এ ব্যবহার করুন এবং বন্ধু ও বান্ধবীদের চমকে দিন। ডাউনলোড লিঙ্ক গুলো নিচে দেওয়া রয়েছে।


Durga Puja




১) সীতাপুর নবীনমানুয়া সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব(৮২তম বর্ষ)
পরিঃ সীতাপুর নবীনমানুয়া সার্ব্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটি

Watch Video on YouTube - Click here



২) পাঁচবেড়িয়া সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (১৬তম বর্ষ)
পরিঃ  পাঁচবেড়িয়া সানরাইজ ক্লাব
থিম- স্মৃতিজাল

Watch Video on YouTube - Click here


৩) রাধাকান্তপুর সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (৫৩তম বর্ষ)
পরিঃ রাধাকান্তপুর দুর্গাপূজা কমিটি
থিম- ছাতার মন্ডপ

Watch Video on YouTube - Click here



৪) সোনাখালি বাজার দুর্গোৎসব (৫৮তম বর্ষ)
পরিঃ সোনাখালি বাজার দুর্গোৎসব কমিটি

Watch Video on YouTube - Click here



৫) সোনাখালি স্কুলপাড়া সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (১৪তম বর্ষ)
পরিঃ পল্লীবাসীবৃন্দ
থিম- মহেঞ্জোদাড়ো সভ্যতা

Watch Video on YouTube - Click here




৬) রামপুর আজুড়িয়া সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (১৬তম বর্ষ)
পরিঃ রামপুর আজুড়িয়া দুর্গোৎসব কমিটি

Watch Video on YouTube - Click here



৭) বেলডাঙ্গা চাঁইপাট সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (৩৯তম বর্ষ)
পরিঃ বেলডাঙ্গা চাঁইপাট গ্রামবাসীবৃন্দ

Watch Video on YouTube - Click here



৮) চাঁইপাট স্কুলপাড়া সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (৭২তম বর্ষ)
পরি: চাঁইপাট সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি
থিম-  সুতোর তৈরি প্রতিমা

Watch Video on YouTube - Click here



৯) চাঁইপাট হাটতলা সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব(৩৯তম বর্ষ)
পরি: চাঁইপাট হাটতলা গ্রামবাসীবৃন্দ

Watch Video on YouTube - Click here



১০) পায়রাশি চাঁইপাট সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (২১তম বর্ষ)
পরি: পায়রাশি গ্রামবাসীবৃন্দ

Watch Video on YouTube - Click here



১১) কলাইকুন্ডু সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (২৩তম বর্ষ)
পরি: কলাইকুন্ডু দুর্গোৎসব কমিটি

Watch Video on YouTube - Click here



১২) খাটবাড়ই সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (১৪তম বর্ষ)
পরি: পল্লীশ্রী সংঘ ও গ্রামবাসীবৃন্দ

Watch Video on YouTube - Click here


১৩)মামুদপুর সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (২৫তম বর্ষ)
পরি: মামুদপুর বকুলতলা অগ্রদূত ক্লাব
থিম: ৬০ফুট দুর্গা

Watch Video on YouTube - Click here



১৪) লাওদা সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (১০তম বর্ষ)
পরি: লাওদা ভুতনাথ সংঘ ও গ্রামবাসীবৃন্দ
থিম: ঢোলকপুরের ছোটা ভীম

Watch Video on YouTube - Click here



১৫) কলোড়া সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (৮ম বর্ষ)
পরি: আমরা সবাই

Watch Video on YouTube - Click here



১৬) গৌরা চেঁচুয়া সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (৬৫তম বর্ষ)
পরি: গৌরা চেঁচুয়া হাট সার্ব্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটি
থিম- সতীর ১৫১টি রুপ

Watch Video on YouTube - Click here



১৭) চকসুলতান সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (১৮তম বর্ষ)
পরি: চকসুলতান তরুণ সংঘ

Watch Video on YouTube - Click here



১৮) সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গোৎসব
পরি: পলাশপাই সার্ব্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি

Watch Video on YouTube - Click here




১৯) পূর্ব পলাশপাই সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (২৫তম বর্ষ)
পরি: মিতালী নবীন সংঘ

Watch Video on YouTube - Click here



২০) সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গোৎসব(১১তম বর্ষ)
পরি: পূর্ব পলাশপাই দক্ষিণপাড়া সার্ব্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটি

Watch Video on YouTube - Click here


২১) কাশীনাথপুর সার্ব্বজনীন গ্রামীণ দুর্গোৎসব (১২তম বর্ষ)
পরি: কাশীনাথপুর সার্ব্বজনীন গ্রামীণ দুর্গোৎসব কমিটি

Watch Video on YouTube - Click here



২২) সীতারামচক সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (৩৭তম বর্ষ)
পরি: নেতাজী তরুণ সংঘ ও গ্রামবাসীবৃন্দ

Watch Video on YouTube - Click here



২৩) শ্রী শ্রী সার্ব্বজনীন দুর্গোৎসব (৫ম বর্ষ)
পরি: লক্ষীকুন্ডু উৎসব কমিটি

Watch Video on YouTube - Click here




আপনার পছন্দের পূজোর ভিডিও ডাউনলোড করুণ এবং WhatsApp এর Status এ ব্যবহার করে সকলকে চমকেদিন। শুভ শারদীয়ার আগাম প্রীতি শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।

Featured Post

শ্রী শ্রী সর্বজনীন শ্মশানকালী পূজা ও বার্ষিক অনুষ্ঠান ২০১৯ ** নবীনমানুয়া( জোড়া সাঁকো )

শ্রী শ্রী সর্বজনীন শ্মশানকালী পূজা ও বার্ষিক অনুষ্ঠান ২০১৯ পরিচালনায়ঃ নবীমমানুয়া ফাইভ স্টার ক্লাব। স্থাপিতঃ ১৯৯৮ রেজিঃ নং- SL/...