সীতাপুর মনসামাতার মন্দিরের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
পশ্চিম মেদিনীপুরের সীতাপুর গ্রামের মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম মন্দির হল সীতাপুর মনসামাতার মন্দির। মন্দিরটি ২৮শে আশ্বিন ১৪২৩( ইং - ১৫/১০/২০১৬) শনিবার প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এই নতুন মন্দিরটির পূর্বে যে মন্দিরটি ছিল তা নতুন রাস্তা তৈরির কারণে ভেঙ্গে দিতে হয়েছিল।
মনসামতার পূজোকে কেন্দ্র করে গ্রামে উৎসব পালান হয়। শুধু সীতাপুর গ্রাম নয় পাশাপাশি সমস্ত গ্রামের মানুষ এই পূজোর সময় উপস্থিত থাকে। এই পূজো শুরু হয়েছিল ১২৯৬ সালে। মতিলাল দোলই এবং তার সহকর্মীরা এই পূজো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর পর থেকে সীতাপুর নবীনমানুয়া মিলন সংঘ ও সীতাপুর মনসাপূজো কমিটি এই পূজো পরিচালনা করেন। সীতাপুর নবীনমানুয়া মিলন সংঘের বর্তমান সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দাস এবং সভাপতি শীতল চন্দ্র খাঁড়া মহাশয়। এনাদের মতে নতুন মন্দির নির্মাণে খরচ হয়ছে প্রায় ৬০-৭০ লক্ষ টাকা। এই মন্দির নির্মাণে অনেক ভক্তরা সাহায্য করেছেন। গ্রামের মানুষ এবং সর্নশিল্পিদের সহযোগিতায় ৩ বছরে এই মন্দির সম্পূর্ণতা লাভ করে।
আশ্বিন মাসের সংক্রান্তিতে শুরু হয় এই মন্দিরের পূজো। পূজোর শুরুর দিন সকালে ঘাক, বাদ্যযন্ত্র, ছো-নৃত্য ও ঘট মাথায় নিয়ে গ্রাম পরিক্রমা করা হয়। রাত্রিতে নানান বাদ্যযন্ত্র, বাজি ও সাপের খেলা হয়। সাপকে গলায় জরিয়ে ঘট ডুবনো হয়। পরের দিন সকালে ভক্তদের ভিড় হয় পূজোর অঞ্জলী দেওয়ার জন্য। অঞ্জলী দেওয়ার পর অন্ন প্রসাদের ব্যবস্থা থাকে। ৩-৪ দিন ধরে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পূজোর দিন গুলোতে মন্দিরের সামনে চলে মেলা। মেলাতে গ্রামের মানুষদের অসম্ভব ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
কখনো কখনো বৃষ্টির কারণে এই অনুষ্ঠানের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে হয়। তবুও মানুষ পূজোর দিন গুলো খুব আনন্দের সঙ্গে কাটায়। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয় স্বজনে ভোড়ে ওঠে।
পূজোর দিন গুলো ছাড়াও ভক্তদের ভিড় হয় নিয়মিত পূজো দেওয়ার জন্য। মন্দিরে নিয়মিত দুপুরে ও সন্ধ্যায় মায়ের পূজো হয়। মাননীয় নিমাই চন্দ্র দাস এই পূজো করেন।
No comments:
Post a Comment