Saturday, August 25, 2018

,

২০১৮ (বাং- ১৪২৫ )সালের শ্রী শ্রী শারদীয়ার দুর্গাপূজার সময় নির্ঘন্ট



বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হল শারদীয়া দুর্গোৎসব। দেবী দুর্গার ৫ দিনের পূজো উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। মহাষষ্ঠী,মহাসপ্তমী,মহাষ্টমী,মহানবমী,বিজয়াদশমী এই ৫ দিনের পূজো হলেও বাঙালি মহলয়ার দিন থেকেই আনন্দ উপভোগ করে।


Devi Durga




শ্রী শ্রী শারদীয়ার দুর্গাপূজার সময় নির্ঘন্ট: 

মহাপঞ্চমী

২৭শে আশ্বিন ১৪২৫ ( ইং- ১৪ই অক্টোবর ২০১৮ ) রবিবার: 
পঞ্চমী দিবা ঘ ৭|৪৪ পর্য্যন্ত।
সায়ংকালে শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর বোধন।


মহাষষ্ঠী

২৮শে আশ্বিন ১৪২৫ ( ইং- ১৫ই অক্টোবর ২০১৮ ) সোমবার: 
ষষ্ঠী দিবা ঘ ৮|৫৬ পর্য্যন্ত। 
দিবা ঘ ৮|৫৬ মধ্যে শ্রী শ্রী দুর্গাষষ্ঠী।
দিবা ঘ ৮|৫৬ মধ্যে শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর ষষ্ঠ্যাদিকল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা প্রশস্তা।
সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস।

মহাসপ্তমী

২৯শে আশ্বিন ১৪২৫ ( ইং- ১৬ই অক্টোবর ২০১৮ ) মঙ্গলবার: 
সপ্তমী দিবা ঘ ১০|৩২ পর্য্যন্ত। শ্রী শ্রী শারদিয়া দুর্গাপূজা।
দেবীর ঘোটকে আগমন।
রাত্রি ঘ ১০|৫৯ গতে ১১|৪৭ মধ্যে দেবীর অর্দ্ধরাত্রবিহিত পূজা।


মহাষ্টমী

৩০শে আশ্বিন ১৪২৫ ( ইং- ১৭ই অক্টোবর ২০১৮ ) বুধবার: 
মহাষষ্টমী দিবা ঘ ১২|২৭ পর্য্যন্ত।
দিবা ঘ ৮|৩১ মধ্যে শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর মহাষ্টম্যাদিকল্পারম্ভ ও কেবল মহাষ্টমীকল্পারম্ভ এবং  মহাষষ্টমীবিবিহিত পূজা প্রশস্তা।
পূর্ব্বাহ্ণ মধ্যে বীরাষষ্টমী ও মহাষ্টমীর ব্রতোপবাস।

দিবা ঘ ১২|৩ গতে সন্ধিপূজারম্ভ 
দিবা ঘ ১২|৫১ মধ্যে সন্ধিপূজা সমাপন।


মহানবমী

৩১শে আশ্বিন ১৪২৫ ( ইং- ১৮ই অক্টোবর ২০১৮ ) বৃহস্পতিবার: 
মহানবমী দিবা ঘ ২|৩২ পর্যন্ত।
পূর্ব্বাহ্ মধ্যে  শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর কেবল মহানবমীকল্পারম্ভ এবং  মহানবমীবিবিহিত পূজা প্রশস্তা।


বিজয়াদশমী

১লা কার্ত্তিক ১৪২৫ ( ইং- ১৯শে অক্টোবর ২০১৮ ) শুক্রবার: 
বিজয়াদশমী  অপরাহ্ণ ঘ ৪|৩৭ পর্য্যন্ত।
দিবা ঘ ৮|৩১ মধ্যে শ্রীশ্রী শারদীয়া দশমীবিবিহিত পূজা সমাপনান্তে বিসর্জ্জন প্রশস্তা।
দেবীর দোলায় গমন।
কুলাচারানুসারে বিসর্জ্জনান্তে অপরাজিতা পূজা।


Durga Puja



দুর্গাপূজা মানে পাড়ায় পাড়ায়, ক্লাবে ক্লাবে পূূজো। নতুন পোশাক পরে সারা রাত্রি পূজো প্যান্ডেল, প্রতিমা দেখা আর জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। মহাষষ্টমীতে প্রিয়জনেদের সাথে অঞ্জলী দেওয়া এবং বিজয়াদশমীতে সিঁদুর খেলা দিয়ে শেষ হয় এই শারদউৎসব। 






সীতাপুর আমার গ্রাম- এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই আগাম শুভ শারদীয়ার প্রীতি শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।
Durga Puja




Sunday, August 19, 2018

,


 ভাদ্র মাসে বাঙালির রীতি 



বাঙালি মানে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া। বাঙালি অথচ খেতে ভালোবাসে না- এটা হতেই পারে না। সারা বছর নানান খাওয়ার মধ্যে ভাদ্র মাসে বাঙালি অন্য স্বাদ অনুভব করে। ভাদ্র মাসের প্রথম রবিবার বাঙালিদের কাছে উৎসবের মতো পালান করে।


ওল,মাছ ভাত
সীতাপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর


 এই উৎসব  হল খাবারের উৎসব। ভাদ্র মাসের প্রথম রবিবার ভাতের সাথে কাঁচা লঙ্কা,লেবু, ঘি, ওল,তেঁতুলের টক,নোনা ঘুসো,সরষে ইলিশ,শাক ভাজা খেয়ে, পালিত হয় বাঙালির রীতি। 



ওল

সকালে ঘুম থেকে ওঠে বাজার থেকে ইলিশ ও নোনা ঘুসো মাছ  ও ওল আনা হয়। দুপুরে এই খাবার খেয়ে বাঙালিরা তৃপ্তি অনুভব করে।

Saturday, August 18, 2018

,


সীতাপুর ও নবীনমানুয়া গ্রামে কোন মোবাইল সিম ব্যবহার করা সুবিধা হবে!


সবুজ গাছে ঘেরা এই সীতাপুর নবীনমানুয়া গ্রাম। ইন্টারনেট এর যুগে সকলেই চাই হাই স্পিড ইন্টারনেট। সীতাপুরে সাধারণ তিনটি মোবাইল টাওয়ার রয়েছে। দুটি সীতাপুর হরিতলার নিকট এবং অপরটি নবীনমানুয়া ঈশ্বরচন্দ্র হাই স্কুলের ময়দানের পাশে। আগে সীতাপুর ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম গুলোতে  মোবাইল ফোনে কথা বলতে অসুবিধা হত। বর্তমানে এই তিনটি টাওয়ারের কারণে অসুবিধে অনেক কমে গেছে। বর্তমানে জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়া ইত্যাদি কোম্পানি সিম ব্যবহারকারীদের কোনরকমের সমস্যা হয় না। আপনার জেনে নেওয়া ভালো সীতাপুরের কোথায় কোন সিম ব্যবহার করলে ইন্টারনেট স্পিড ও কল করার সুবিধা হবে।


Mobile SIM



সীতাপুর হরিতলা থেকে দক্ষিণ দিকে আমদহ এবং উত্তর দিকে কালীতলা পর্যন্ত জিও ও এয়ারটেল ব‍্যবহার করলে আপনার সুবিধা। জিও অফার অনেক রয়েছে তাই জিও ব্যবহার করুন। জিও ব্যবহার করলে একটাই সমস্যা অনান্য স্থানে গেলে সাময়িক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। আইডিয়াও ব্যবহার করতে পারেন। আইডিয়ার 4G এর ইন্টারনেট স্পিড খুব ভালো।

সীতাপুর কালীতলা থেকে সীতাপু্র বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত চারটি সিমের মধ্যে ভোডাফোন, এয়ারটেল ও জিও এই তিনটি সিম ব্যবহার করতে পারেন। এখানে ইন্টারনেট স্পিড সব ক্ষেত্রে এভারেজ এবং কলের জন্য কোনো সমস্যা হয় না। এইখানে আইডিয়ার নেটওয়ার্কের সমস্যা হয় অনেক।


নবীনমানুয়া কান্ডার পাড়ার পাশাপাশি ইন্টারনেটের জন্য এয়ারটেল ভালো। জিও ভালো কিন্তু এয়ারটেলের থেকে কম স্পিড দেয়। কলের জন্য এই দুটি ছাড়া ভোডাফোন ব্যবহার করতে পারেন। এইখানে আইডিয়ার নেটওয়ার্কের সমস্যা হয় অনেক।

সীতাপুর বাজার পাড়ায় ইন্টারনেট ও কলের জন্য এয়ারটেল এবং ভোডাফোন ব্যবহার করুন। এয়ারটেল এর ইন্টারনেট স্পিড সীতাপুর বাজার পাড়ায় অনেক বেশি। ভোডাফোন ও এভারেজ স্পিড দেয়। কলের জন্য দুটির মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন। এখানে আইডিয়ার নেটওয়ার্কের সমস্যা হয় অনেক। জিও এরও সমস্যা হয়।

সীতাপুর নিউমার্কেটের পাশাপাশি ইন্টারনেটের জন্য ভোডাফোন ব্যবহার করতে পারেন। জিও একটু সমস্যা হলেও স্পিড এভারেজ পাওয়া যায়। কলের জন্য এই দুটি ছাড়া এয়ারটেল ব্যবহার করতে পারেন। এম টি এস সিম ও ব্যবহার করতে পারেন

সীতাপুর নিমজাঙালের পাশাপাশি আইডিয়া ও ভোডাফোন ব্যবহার করুণ। ভোডাফোন ইন্টারনেটের জন্য ভালো। কলের জন্য আপনি এই দুটি ছাড়া এয়ারটেল ব্যবহার করতে পারেন। জিও নেটওয়ার্কের একটু সমস্যা হলেও স্পিড ও কলের ক্ষেত্রে এভারেজ।

সীতাপুর হাঁড়াপাড়ার পাশাপাশি জিও বা আইডিয়া (4G) ব্যবহার করুন ইন্টারনেট ও কলের জন্য। এছাড়াও এইখানে ভোডাফোন ও এয়ারটেল এভারেজ ইন্টারনেট স্পিড দেয় , কলের জন্য কোনো সমস্যা হয় না।

এছাড়াও আপনি আপনার পছন্দের মতো সিম ব্যবহার করতে পারেন। কিছু সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে তবে বেশি সমস্যা হবে না। বর্তমানে আরও উন্নতি হচ্ছে। তাই  জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়া চারটি সিমের মধ্যে আপনার পছন্দের সিম আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

Friday, August 17, 2018

,

সীতাপুরে উপস্থিত ছিলেন ভজ  গোবিন্দ সিরিয়ালের নায়িকা মিস ডালি


বাংলা সিরিয়ালের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল ভজ গোবিন্দ। ভজ গোবিন্দ সিরিয়ালটি স্টার জলসা চ্যানেলে রাত ৯:৩০ মিনিটে প্রচারিত হয়। স্বস্তিকা দত্ত এই মজাদার সিরিয়ালের নায়িকা  ডালি চৌধুরী রূপে অভিনয় করছেন। এই সিরিয়াল ছাড়াও তিনি অনেক বাংলার চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন পারব না আমি ছাড়তে তোকে চলচ্চিত্রে বনি সেনগুপ্তের এবং কৌশানী মুখোপাধ্যায় বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যেমে  ২০১৫ সালে। এই চলচ্চিত্রটি বিরাট সাফল‍্য পায় দর্শক মহলে। এছাড়াও তিনি অভিমান, হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা ইত‍্যাদি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন।

Bhajo Gobinda



১লা কার্ত্তিক ১৪২৪(ইং-১৯/১০/২০১৭) বৃহস্পতিবার সীতাপুর নবীন মানুয়া মিলন সংঘ ও সীতাপুর মনসা পূজা কমিটির পরিচালনায় সার্ব্বজনীন শ্রী শ্রী মনসা পূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিচিত্রানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই ভজ গোবিন্দ সিরিয়ালের নায়িকা মিস ডালি।
সীতাপুরের অন্যতম পূজা হল মনসামাতার পূজো। পূজো কমিটির পরিচালনায় এর আগে অনেক বড়ো বড়ো অভিনেতা ও অভিনেত্রী এখানে এসেছেন। কিন্তু ঐ দিন সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই মাঠের অধিকাংশ ভিজে গিয়েছিল। বিকেলে পূজো কমিটি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে অনুষ্ঠান হবে।
এরপর সেই বৃষ্টি, কাদা উপেক্ষা করেই মানুষ জন উপস্থিত হয়েছিলেন। যথারীতি সময়ে শুরু হয়েছিল  অনুষ্ঠান। ডালি আসার পূর্বেই আবার বৃষ্টি হয়। এবং এই বৃষ্টির জন্য অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। অনেক মানুষ ঐ বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিল। বৃষ্টিতে ভিজে মানুষ জন অপেক্ষা করছিল ডালির। তারপর ঐ বৃষ্টিতে উপস্থিত হয়েছিলেন ডালি। তিনি নিজের ও সিরিয়ালের সম্পর্কে অনেক কথা বলেন। এরপর একটি গান ও দুটো ড্যান্স করে ঐ বৃষ্টির মধ্যে সকলকে আনন্দিত করেছিলেন।
এইভাবেই সীতাপুরে প্রথম ডালি এসেছিলেন। এরপর আবার মহাপ্রভু মিলন সংঘের পরিচালনায় শিবদূর্গা পূজো উপলক্ষে ৫ই ফাল্গুন ১৪২৪ ( ইং- ১৮-০২-২০১৮) রবিবার দ্বিতীয়বার ডালি সীতাপুরে এসেছিলেন।








Program Organized By: Sitapur Milan Sangha
Camera: C Maity
YouTube Channel Partner: Sitapur Amar Gram
Place: Sitapur, Paschim Medinipur,West  Bengal, India
,

২০১৭ সালে ঘাটাল মহকুমার তিনটি আকর্ষণীয় দূর্গাপূজো 



ঘাটল মহকুমায় বড়ো বাজেটের অনেক দূর্গাপূজা হয়ে থাকে অনেক ক্লাবে এবং এই পূজো গুলো দেখার জন্য মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ২০১৭ সালে পূজোর আগে বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল মহকুমার অনেক গ্রাম। এই সময় ক্লাব গুলো ঝাঁপিয়ে পড়ে বন্যা কবলিত এলাকায় সাহায্যের জন্য। এই কারণে দূর্গাপূজোতে অনেক ক্লাব পূজোর বাজেট কমিয়ে দিয়েছিল। তবুও মানুষের আস্থা রাখতে কিছু অসাধারণ প্যান্ডেল বানানো হয়েছিল। এই গুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় তিনটি পূজো ছিল ১) পাঁচবেড়িয়া  ২) সোনাখালি  ৩) রাধাকান্তপুর।




১) পাঁচবেড়িয়া

পাঁচবেড়িয়া সানরাইজ ক্লাবের ২০১৭ সালে পূজো প্যান্ডেলর থিম ছিল স্মৃতিজাল। সম্পূর্ণ প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছিল হারিয়ে যাওয়া কিছু জিনিস দিয়ে যেগুলো দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা হত। প্যান্ডেলে ব্যবহার করা জিনিস হল উুল,লন্ঠন, হ্যারিকেন, হাতপাখা ইত্যাদি। অসম্ভব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলেছিল এবং ভিড় ছিল লক্ষণীয়।


২) সোনাখালি

পল্লীবাসীবৃন্দের পরিচালনায়  ২০১৭ সালে থিম ছিল মহেঞ্জোদাড়ো সভ্যতা। থার্মোকল দিয়ে তৈরি এই প্যান্ডেল মহেঞ্জোদাড়ো সভ্যতাকে অসম্ভব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিল। ছোটোদের কাছে এই থিমটি অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিল। এছাড়াও প্রতিমা ছিল থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই সকলকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছিল।


৩) রাধাকান্তপুর

রাধাকান্তপুর দূর্গাপূজা কমিটির পরিচালনায় ২০১৭ সালে তাদের থিম ছিল ছাতার মন্ডপ।  ছাতা ও লাইট দিয়ে অসাধারণ প্যান্ডেল তৈরি করেছিল। রাস্তার ওপারেও ছিল ছাতার কারুকার্য। মন্ডপের  ভিতরে ছিল প্লাস্টিকের  বাটি , গাছের পাতা আরও অনান্য সামগ্রী। এই সমস্ত সামগ্রী দিয়ে মন্ডপের ভিতরের পরিবেশ আরও সুন্দর মনোরম করে তুলেছিল।



এছাড়াও ঘাটাল মহকুমার অন্যান্য পূজো গুলোর থিম ছিল আকর্ষণীয়। কিন্তু এই তিনটি পূজোর থিম মানুষদের বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছিল।
,


আবার আসিব ফিরে-এই বাংলায়, শুভ নববর্ষের এক অসাধারন ভিডিও




সীতাপুর হল পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটি ছোটো গ্রাম।  সীতাপুরের পাশের গ্রাম হল নবীনমানুয়া। সীতাপুর ও নবীনমানুয়া হল 'দুই ভাই' এর মতো। পর কে আপন করে নেওয়ার দুর্লভ গুণ এখানকার মানুষের সহজাত। এখানকার সবথেকে মাধুর্য্যময় ব্যাপার হল এখানকার প্রানখোলা বাতাস। এখানকার মানুষেরা খুব উৎসব প্রিয় তাই বারো মাসে তেরো পার্বন হয়ে থাকে। গ্রামের চাষীবন্ধুরা খুব সহজসরল ও পরিশ্রমী। এই গ্রাম দুটির প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে এই ভিডিওটি বানানো হয়েছে।




ভিডিওতে ব্যবহিত গানটি সারেগামা মিউজিক কোম্পানির এবং গানটি গেয়েছেন লোপামুদ্রা মিত্র।
গানটি জীবনানন্দ দাশ- এর কবিতার ওপর করা হয়েছিল। কবিতাটি নিচে দাওয়া হল।

আবার আসিব ফিরে

জীবনানন্দ দাশ


আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-এই বাংলায় 
হয়তো মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে 
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে 
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল-ছায়ায়; 
হয়তো বা হাঁস হব- কিশোরীর-ঘুঙুর রহিবে লাল পায়, 
সারা দিন কেটে যাবে কলমির গন্ধ ভরা জলে ভেসে ভেসে; 
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালবেসে 
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংরার এ সবুজ করুণ ডাঙায়; 

হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে। 
হয়তো শুনিবে এক লক্ষ্মীপেঁচা ডাকিতেছে শিমূলের ডালে। 
হয়তো খইয়ের ধান ছড়াতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে। 
রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে 
ডিঙ্গা বায়; রাঙ্গা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে 
দেখিবে ধবল বক; আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভীড়ে।


সবুজে ঘেরা সীতাপুর গ্রামের নববর্ষের এই ভিডিও মানুষের প্রিয় হয়ে ওঠেছিল। গ্রামের সোনার ফসল বাড়িতে ওঠার আনন্দ এবং নববর্ষের আনন্দ দুটোই পালান হয় নানান খাওয়া দাওয়ার মধ্য দিয়ে।



Music Credits:
Song: Abar Aashibo Phire
Artist: Lopamudra Mitra
Album: Annaya Haoa - Lopamudra Mitra

Sunday, August 12, 2018

,

সীতাপুর মনসামাতার মন্দিরের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য 


পশ্চিম মেদিনীপুরের  সীতাপুর গ্রামের মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম মন্দির  হল সীতাপুর মনসামাতার মন্দির। মন্দিরটি ২৮শে আশ্বিন ১৪২৩( ইং - ১৫/১০/২০১৬) শনিবার প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এই নতুন মন্দিরটির পূর্বে যে মন্দিরটি ছিল তা নতুন রাস্তা তৈরির কারণে ভেঙ্গে দিতে হয়েছিল।

 মনসামতার পূজোকে কেন্দ্র করে গ্রামে উৎসব পালান হয়। শুধু সীতাপুর গ্রাম নয় পাশাপাশি সমস্ত গ্রামের মানুষ এই পূজোর সময় উপস্থিত থাকে। এই পূজো শুরু হয়েছিল ১২৯৬ সালে। মতিলাল দোলই এবং তার সহকর্মীরা এই পূজো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর পর থেকে সীতাপুর নবীনমানুয়া মিলন সংঘ ও সীতাপুর মনসাপূজো কমিটি এই পূজো পরিচালনা করেন। সীতাপুর নবীনমানুয়া মিলন সংঘের বর্তমান সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দাস এবং সভাপতি শীতল চন্দ্র খাঁড়া মহাশয়। এনাদের মতে নতুন মন্দির নির্মাণে খরচ হয়ছে প্রায় ৬০-৭০ লক্ষ টাকা। এই মন্দির নির্মাণে অনেক ভক্তরা সাহায্য করেছেন। গ্রামের মানুষ এবং  সর্নশিল্পিদের সহযোগিতায় ৩ বছরে এই মন্দির সম্পূর্ণতা লাভ করে।

Hindu Temple


আশ্বিন মাসের সংক্রান্তিতে শুরু হয় এই মন্দিরের পূজো। পূজোর শুরুর দিন সকালে ঘাক, বাদ্যযন্ত্র, ছো-নৃত্য ও ঘট মাথায় নিয়ে গ্রাম পরিক্রমা করা হয়। রাত্রিতে নানান বাদ্যযন্ত্র, বাজি ও সাপের খেলা হয়। সাপকে গলায় জরিয়ে ঘট ডুবনো হয়। পরের দিন সকালে ভক্তদের ভিড় হয় পূজোর অঞ্জলী দেওয়ার জন্য। অঞ্জলী দেওয়ার পর অন্ন প্রসাদের ব্যবস্থা থাকে। ৩-৪ দিন ধরে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পূজোর দিন গুলোতে  মন্দিরের সামনে চলে মেলা। মেলাতে গ্রামের মানুষদের অসম্ভব ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
কখনো কখনো বৃষ্টির কারণে এই অনুষ্ঠানের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে হয়। তবুও মানুষ পূজোর দিন গুলো খুব আনন্দের সঙ্গে কাটায়। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয় স্বজনে ভোড়ে ওঠে।

পূজোর দিন গুলো ছাড়াও ভক্তদের ভিড় হয় নিয়মিত পূজো দেওয়ার জন্য। মন্দিরে নিয়মিত দুপুরে ও সন্ধ্যায় মায়ের পূজো হয়। মাননীয় নিমাই চন্দ্র দাস এই পূজো করেন।




Featured Post

শ্রী শ্রী সর্বজনীন শ্মশানকালী পূজা ও বার্ষিক অনুষ্ঠান ২০১৯ ** নবীনমানুয়া( জোড়া সাঁকো )

শ্রী শ্রী সর্বজনীন শ্মশানকালী পূজা ও বার্ষিক অনুষ্ঠান ২০১৯ পরিচালনায়ঃ নবীমমানুয়া ফাইভ স্টার ক্লাব। স্থাপিতঃ ১৯৯৮ রেজিঃ নং- SL/...